কক্সবাজার, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

দীর্ঘ ১৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা

দীর্ঘ ১৩ বছর পর উৎসবের আমেজে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও অনুষ্ঠিত হলো প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে এ পরীক্ষা চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং বিজ্ঞান বিষয়ে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। যেখানে অংশ গ্রহণ করেছে প্রাথমিকের ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাও বেশ উচ্ছ্বসিত।

স্বল্প সময়ে আয়োজিত এই বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মাঝে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দীর্ঘদিন পর পূণরায় মেধা যাচাইয়ের জন্য সরকার প্রাথমিকে যে বৃত্তি পরীক্ষা চালু করেছে এটি যুগোপযোগী বলে মনে করছেন শিক্ষকেরা। অন্যদিকে একই সময়ে এসব খুদে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা ও বৃত্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। অনেকটা বাধ্য হয়েই দায়সারাভাবে শিশু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অভিভাবকেরা।

শিশুদের এই বৃত্তি পরীক্ষা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি বলে জানান কেন্দ্র সচিব।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় কক্সবাজার জেলায় ৮ উপজেলার ১৫ টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৭৫ জন পরিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।

২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালুর পর এর ফলাফলের ভিত্তিতেই বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু গত দুই বছর পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা হয়নি। এতে বন্ধ হয়ে যায় প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি।

পাঠকের মতামত: